বাজেটে সরকারি চাকরিজীবীদের সুযোগ, সাধারণের কাঁধে করের বোঝা

অন্তর্বর্তী সরকারের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে একদিকে কর বাড়ানোর নানা উদ্যোগ, অন্যদিকে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য 'বিশেষ সুবিধার' ঘোষণা আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
"সরকার কর বাড়ালেও আমাদের বেতন তো সেভাবে বাড়ে না", গণমাধ্যমকে বলছিলেন বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের সহকারী ব্যবস্থাপক মিঠুন শিকদার।
তিনি বলছেন, "কারো বেতন বৃদ্ধি সমস্যা না, সরকার আমাদের দিকটাও একটু দেখুক"।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের এক কর্মী গণমাধ্যমকে বলছিলেন, "সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বৃদ্ধির খবরে কালকেই তো বাজারে জিনিসের দাম বাড়বে"।
তার মতে, "এমন সিদ্ধান্ত রীতিমতো, মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা"।
বাজেট ঘোষণার একদিনের মাথায় সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য বিশেষ সুবিধার প্রজ্ঞাপনও জারি করেছে সরকার।
সেই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, নবম গ্রেড পর্যন্ত কর্মকর্তারা ১০ শতাংশ এবং পরের গ্রেডের কর্মচারীরা ১৫ শতাংশ আর্থিক সুবিধা পাবেন।
এই 'বিশেষ সুবিধার' বা বেতন বৃদ্ধির প্রজ্ঞাপন নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যেও।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলছেন, এভাবে বেতন বৃদ্ধির চেয়ে মহার্ঘ ভাতা কার্যকর হলেই বরং লাভবান হতেন তারা।
"বেতন বৃদ্ধি খুশির খবর। কিন্তু এর পাশাপাশি যে হারে কর বাড়ানো হয়েছে তাতে লাভ হবে না কিছুই। কারণ মূল্যস্ফীতির হার অনেক বেশি", বলছিলেন আরেকজন কর্মকর্তা ।
একদিকে আয়কর বাড়ানোর প্রস্তাব, অন্যদিকে সরকারি চাকরিজীবীদের 'বিশেষ সুবিধা' দেয়ার ঘোষণায় অবাক, অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের অনেকে।
তারা বলছেন, বৈষম্য দূর করার কথা বললেও আওয়ামী লীগের দেখানো পুরনো পথেই হাটছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। যা কোনভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। কারণ এতে চাপে পড়বে, আয় কর রিটার্ন সাবমিট করা ওই ৪০ শতাংশ মানুষই।
সানেমের নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান বলছেন, করের হার না বাড়িয়ে কেবল আওতা বৃদ্ধি করেই রাজস্ব আয় বাড়ানো সম্ভব। কিন্তু সেই কঠিন পথে না গিয়ে, অতীতের মতো সহজ পথই বেছে নিয়েছে বর্তমান সরকার।
কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা, মূল্যস্ফীতির নিয়ন্ত্রণ এবং দেশের অর্থনীতিতে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা দূর না করে, সরকারি চাকরিজীবীদের বিশেষ সুবিধার বিষয়টি অপ্রাসঙ্গিক ও সাংঘর্ষিক বলেও মনে করেন অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়িরা।
তারা বলছেন, এর ফলে সাধারণ মানুষের ওপর চাপ আরো বাড়াবে।
বাজেটে রাজস্ব আয় ও করের যে প্রস্তাব
ক্ষমতা গ্রহণের দশ মাসের মাথায় গত দোসরা জুন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
৭ লক্ষ ৯০ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেটে, ৫ লক্ষ ৬৪ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর মধ্যে রাজস্ব বোর্ডের মাধ্যমেই ৪ লক্ষ ৯৯ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করবে সরকার। অন্যান্য উৎস থেকে বাকি টাকা সংগ্রহের পর ঘাটতি থাকবে ২ লক্ষ কোটি টাকার কিছু বেশি।
এবার বাজেটে ব্যক্তিশ্রেণির করমুক্ত আয়সীমা বাড়েনি। গত বছরের মতোই ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বার্ষিক করমুক্ত আয়সীমা সাড়ে তিন লাখ টাকা রাখা হয়েছে।
তবে ২০২৬-২৭ অর্থবছর এবং ২০২৭-২৮ অর্থবছরের জন্য স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতার ক্ষেত্রে করমুক্ত আয়ের সীমা ২৫ হাজার টাকা বাড়িয়ে তিন লাখ ৭৫ হাজার টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে।
তবে এই প্রস্তাবে সার্বিকভাবে অধিকাংশ করদাতার ওপর করের চাপ বাড়িয়েছে সরকার।
এক্ষেত্রে করহারের ধাপে কিছুটা পরিবর্তন এনে সাতটির জায়গায় ছয় ধাপে করহার প্রস্তাব করেছেন অর্থ উপদেষ্টা।
সর্বোচ্চ করহার আগের মতো ৩০ শতাংশ রাখা হলেও আগের ধাপগুলোর সীমা কমিয়ে আনায় গত বছরের সমান আয় করেও বেশি হারে কর দিতে হবে অনেক করদাতাকে।
সরকারি চাকরিজীবীদের 'বিশেষ সুবিধা'
উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় নিয়ে ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে ২০২৩ সালের জুলাই থেকে সরকারি চাকরিজীবীদের বার্ষিক ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্টের পাশাপাশি অতিরিক্ত ৫ শতাংশ হারে বিশেষ প্রণোদনা ঘোষণা করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই প্রণোদনাই আরো বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
এবারের বাজেট বক্তৃতায় অর্থ উপদেষ্টা বলেন, "২০১৫ সালের পর অদ্যাবধি কোন বেতন কাঠামো প্রণিত না হওয়ায়, বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এবারের বাজেটে সরকারি কর্মচারিদের জন্য বিশেষ সুবিধার পরিমাণ বৃদ্ধির প্রস্তাব করছি"।
জুলাই থেকে সরকারি চাকরিজীবীদের বিশেষ প্রণোদনার হার বিদ্যমান ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে এরই মধ্যে (মঙ্গলবার) প্রজ্ঞাপনও জারি করেছে সরকার।
যেখানে দশম থেকে বিশতম গ্রেডভুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এই ৫ শতাংশসহ মোট ১৫ শতাংশ এবং নবম গ্রেড পর্যন্ত কর্মকর্তারা মোট ১০ শতাংশ হারে বিশেষ প্রণোদনা পাবেন।
বাজেট ডকুমেন্ট অনুযায়ী, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতায় বরাদ্দ করা হয়েছে মোট ৮৪ হাজার ১১৪ কোটি টাকা।
বেসরকারি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সানেম (সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং) এর নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান বলছেন, "বিশেষ সুবিধা এই টার্মটাতেই আমার আপত্তি আছে"।
"আমরা যখন বৈষম্যবিরোধী কথা বলছি, বৈষম্য কমানোর কথা বলছি, তখন কেনো আমরা শুরুমাত্র সরকারি কর্মচারিদের জন্য একটা বিশেষ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এরকম কনটেক্সটে বিষয়টি কোনভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়", বলছেন মি. রায়হান।
তিনি বলছেন, এই মুহূর্তে অর্থনীতিতে মূল্যস্ফীতির চাপ বিদ্যমান। তাই বিশেষ পক্ষকে সুবিধা দিলে পরিস্থিতির ওপর আরো চাপ সৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া ৯০ ভাগের বেশি মানুষ যারা সরকারি চাকরির বাইরে আছে, তাদের জন্য কোন ধরনের বিশেষ সুবিধা রইলো, এই প্রশ্নও করেন মি. রায়হান।
সরকারি কর্মচারিদের 'বিশেষ সুবিধা' দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের ঘোষণা নিয়েই অবাক হয়েছেন মি. রায়হান।
সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতার বিষয়ে, ২০১৫ সালের পরে রিভিশন হয়নি বলে যে যুক্তি দেয়া হয়েছে সে বিষয়ে ড. সেলিম রায়হান বলছেন, "২০১৫ সাল থেকে এতোদিন যদি এর জন্য অপেক্ষা করা সম্ভব হয় তাহলে আরও এক বছর অপেক্ষা করা যেত"।
তিনি বলছেন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, সামষ্টিক অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা আনা, অর্থনীতি ও রাজনীতিতে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা দূর করাই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে সরকারি চাকরিজীবীদের বিশেষ সুবিধার বিষয়টি অপ্রাসঙ্গিক ও সাংঘর্ষিক বলেই মনে করেন মি. রায়হান।
চাকরিবিষয়ক ওয়েবসাইট বিডি জবস'র প্রধান নির্বাহী ও বেসিসের সাবেক সভাপতি ফাহিম মাশরুর বলছেন, সরকার নিজের অপব্যয় কমাতে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বাড়িয়ে খরচ আরো বাড়িয়ে নিল।
তিনি অভিযোগ করেন, "মূলত ব্যক্তি পর্যায়ে আয় কর রিটার্ন সাবমিট করা ৪০ শতাংশ মানুষের ওপরই চাপটা দেয়া হচ্ছে"।
তিনি বলছেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে যখন অন্যান্য সেক্টরের চাকরিজীবীরা নানা সমস্যায় ভুগছেন, চাকরির বাজারেও খারাপ অবস্থা বিদ্যমান তখন রাষ্ট্রের একটি অংশের বেতন বাড়ানো হলো এটি অনুচিত।
মি. মাশরুর বলছেন, "সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বাড়াতে হবে, টুডে অর টুমরো বাড়াতে হবে, কিন্তু দিস ইজ নট দ্যা রাইট টাইম"।
এমনিতেই ব্যাংক থেকে ঋণ পাচ্ছেন না ব্যাক্তিখাতের ব্যবসায়িরা। তার ওপর এই বাড়তি বেতন দিতে সরকারকে ব্যাংকের কাছ থেকে আরো ঋণ নিতে হবে, বলছেন মি. মাশরুর।
কর্পোরেট ট্যাক্স নিয়ে ব্যবসায়ীরা যা বলছেন
প্রস্তাবিত বাজেট ব্যবসাবান্ধব হয়নি বলেই মনে করেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি শামস মাহমুদ।
মি. মাহমুদ বলছেন, "আগেও অলিগার্ক শ্রেণির ওরা যেভাবে বেনিফিট পায় ওইভাবে বাজেটটা করা হতো, সাধারণ ব্যবসায়িরা কিভাবে ফ্লারিশ করবে এগুলো চিন্তা করতো না, আমরা ভেবেছিলাম জুলাই স্পিরিটটা ধারণ করে, এবারের বাজেটটা ডিফরেন্ট হবে। কিন্তু সেটার প্রোপার রূপরেখা আমরা লক্ষ্য করিনি"।
তার দাবি, ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে প্রণিত অর্থনীতির শ্বেতপত্রে যেসব সূচকগুলোকে বানোয়াট বলা হয়েছে, সেই সূচকগুলোর ওপর ভিত্তি করেই এই বাজেট করা হয়েছে।
"একচুয়াল ইকোনমির সিনারিয়ো তো আমি আমলে নেই নাই", বলছেন মি. মাহমুদ।
ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করছেন, কস্ট অব ডুইং বিজনেসে বাংলাদেশের পরিস্থিতি সন্তোষজনক নয়। এর মধ্যেই ট্যাক্স যেভাবে নির্ধারণ করা হলো তাতে দেশের প্রাইভেট সেক্টর আরো সংকটে পড়বে বলে তাদের আশঙ্কা। একই সঙ্গে সেটি ভোক্তার ওপর চাপ বাড়াবে।
এ বিষয়ে চাকরিবিষয়ক ওয়েবসাইট বিডি জবস এর প্রধান নির্বাহী ও বেসিসের সাবেক সভাপতি ফাহিম মাশরুর বলছেন, লাভ না করলেও আগে মোট আয়ের দশমিক ছয় শতাংশ কর্পোরেট ট্যাক্স দিত কোম্পানিগুলো। যা প্রস্তাবিত বাজেটে বাড়িয়ে এক শতাংশ করা হয়েছে। এতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়িরা আরো চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বেন।
মি. মাশরুর বলছেন, "এমনিতেই ব্যাংকের ইন্টারেস্ট রেট বেড়েছে সাথে এডিশনাল আরো একটি কস্ট বাড়ায় দিচ্ছে"। তার মতে, রাজস্ব আয় বাড়াতে বিদ্যমান করদাতাদের ওপর আরো চেপে বসলো জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, এনবিআর।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রস্তাবিত বাজেটে একক লেনদেনে ৫ লাখ টাকার বেশি এবং বার্ষিক ৩৬ লাখ টাকার বেশি ব্যয় ও বিনিয়োগে, ব্যাংক লেনদেনের শর্ত বাতিল করা হয়েছে, কর্পোরেট ট্যাক্সের ক্ষেত্রে এটি একটি ইতিবাচক বিষয়।
এছাড়া পুঁজিবাজারে লিস্টেড হওয়ার ক্ষেত্রে করপোরেট করের শর্তও শিথিল করা হয়েছে। পুঁজিবাজারকে চাঙ্গা করতে ১০ শতাংশ কমানো হয়েছে মার্চেন্ট ব্যাংকের কর হার। যদিও এর সুবিধা পাওয়া নিয়ে সংশয় রয়েছে ব্যবসায়িদের মধ্যে।
ড. সেলিম রায়হান বলছেন, প্রস্তাবিত বাজেটে পুঁজিবাজারে অংশগ্রহণ করলে কর্পোরেট কর কমানোর সিদ্ধান্ত ইতিবাচক। এতে অনেক কোম্পানি অংশ নিতে আগ্রহী হয়ে উঠবে।
তবে, শুধুমাত্র কর্পোরেট কর কমিয়ে কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে অংশ নিতে আগ্রহী করানো কঠিন হবে। এক্ষেত্রে পুঁজিবাজারে বিদ্যমান মৌলিক সমস্যা ও দুর্বলতাগুলো সমাধান করা প্রয়োজন বলেই মত ড. রায়হানের।
রাজস্ব আয় নিয়ে বিশেষজ্ঞরা যা বলছেন
অতীতের বাজেটগুলোতেও বিভিন্ন পণ্যে, বিভিন্ন হারে কর বাড়ানো-কমানো হয়েছে। যেখানে কেবল রাজস্ব আয় বৃদ্ধি ছাড়া অন্য কোন উদ্দেশ্য খুব একটা কাজ করেনি বলেই মনে করেন সানেমের নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান।
তিনি বলছেন, "যখন অ্যাডহক বেসিসে অথবা ডেভেলপমেন্ট পারসপেকটিভ থেকে পণ্যের করহার হ্রাস-বৃদ্ধির বিষয়টি হয় না তখন এই করের বোঝাটা সাধারণ মানুষের ওপরই আসে"।
ড. সেলিম রায়হান বলেন, দেশের কর কাঠামোতে ৭০ ভাগেরও বেশি পরোক্ষ কর। যার বোঝা সামঞ্জস্যহীনভাবে সাধারণ মানুষের ওপরই বেশি পড়ে। এবারও যেসব সিদ্ধান্ত এসেছে তার প্রভাব দরিদ্র, মধ্যবিত্তদের ওপরই চাপ তৈরি করবে।
কর ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে বড় ধরনের সংস্কারের কথা বলছেন মি. রায়হান। তার মতে, "শুধুমাত্র করের হার বাড়িয়ে অথবা কিছুক্ষেত্রে অ্যাডজাস্ট করে কর ব্যবস্থাপনার সংস্কার হবে না"।
বিভিন্ন গবেষণার কথা উল্লেখ করে ড. সেলিম রায়হান বলেন, করের হার কমিয়ে এর আওতা বাড়িয়ে রাজস্ব আয় বৃদ্ধি সম্ভব। কিন্ত সেই কঠিন পথে না গিয়ে বরং অতীতের মতই সহজ পথে যা করার এবারও সেটিই করা হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ তার ৭ কোটি ৯০ লাখ টাকার বাজেটের তিন চতুর্থাংশ রাজস্ব হিসেবে আহরণের যে পরিকল্পনা করেছেন, সেই লক্ষ্য পূরণ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে গবেষণা সংস্থা সেন্টার পর পলিসি ডায়লগ, সিপিডি।
June 2025
৩৭-০৫ ৭৩ স্ট্রীট, জ্যাকসন হাইটস, নিউইয়র্ক-১১৩৭২, ফোন: ৬৪৬৩০৯৬৬৬৫, সার্কুলেশন ও বিজ্ঞাপন ইমেইল: [email protected]